• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুর সদরে চুরি হওয়া ১৭ মোবাইল উদ্ধার করলো সদর থানা পুলিশ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিন্ডিকেট সদস্য হলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন অর রশিদ জামালপুর সদরের শ্রীপুর ভালুকায় কৃষক সুরুজ আলীর জমি দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বকশীগ‌ঞ্জে ট্রাক চাপায় আইনজীবীর মৃত্যু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদেরকে সার্বিকভাবে চৌকস হয়ে উঠতে হবে-ধর্মমন্ত্রী আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর জামালপুরে হতদরিদ্র ২০০০ পরিবার পেল যুবনেতা ফারহান আহমেদ এর ঈদ উপহার হতদরিদ্র এক হাজার পরিবার পেলে জামালপুর জেলা প্রশাসনের ঈদ উপহার  জনতার পুলিশ স্টোর জামালপুর থেকে দুই টাকায় মিললো ঈদ সামগ্রী অসহায়দের মাঝে জামালপুর ৩৫ বিজিবির খাদ্য সামগ্রী বিতরন

নতুনের কেতন উড়িয়ে চলো এগিয়ে যাই

শওকত জামান , খবরের ফেরীওয়ালা :

 

নতুনের কেতন উড়িয়ে উদ্যেমে এগিয়ে চলা জামালপুরে কর্মরত তরুন সাংবাদিক ভাইদের প্রতি রইলো শুভ কামনা। আপন মহিমায় সাংবাদিকতায় এগিয়ে যাও, বদলে দাও সমাজ। স্বপ্ন দেখাও পিছিয়ে পড়া মানুষদের। আশাহত মানুষদের আশা জাগাও, দেখিয়ে দাও প্রগতির পথ। নীতি নৈতিকতা পেশাদারী দায়বদ্ধতায় সংবাদ পরিবেশন করে অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্যটুকু পালন করে যাও নির্লোভ সাহসিকতায় । সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা হোক গণমানুষের আশ্রয়স্থল।

মিডিয়া বেড়েছে, বেড়েছে সাংবাদিকের সংখ্যা। আশার আলোয় নতুনের বিজয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম। সংখ্যা বাড়লের প্রশিক্ষিত সাংবাদিক বাড়েনি। প্রশিক্ষিত সাংবাদিক তৈরী যে সাপোর্ট সরকারী-বেসরকারীভাবে জেলা উপজেলা পর্যায়ে তা যৎ সামান্য। যাও আছে সবর্ত্র পৌঁছায় না, আবার দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষত হওয়ার প্রশিক্ষন ট্রেনিংসহ নানাবিধ সু্যােগ কিভাবে নিতে হয় প্রক্রিয়া না জানা থাকাই সেই ছিঁটেফোটাও কপালে জুটছেনা বুদ্ধিবৃত্তিক এ পেশায় কর্মরতদের ।

পেশাটাই চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জ না নিতে পারলে এ পেশায় আসা ঠিক নয়। নানা সংকটের মুখেও নিজের দক্ষতা বাড়নোর প্রবল ইচ্ছা শক্তিতে বস্তুনিষ্ঠ সত্য প্রকাশের লড়াই করলে দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। অনেকে বৈচিত্রময় রির্পোটিং করে নিজেকে মেলে ধরছে প্রতিভাবান সাংবাদিক হিসেবে আমাদের জামালপুরেই। তবে সংখ্যায় কম, তাই হতাশ আমরা।

প্রশ্ন উঠতে পারে,

তাহলে কি পত্র-পত্রিকা, সরকারী বেসরকারী রেডিও টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সর্বশেষ ওয়েব টিভি গুলোতে কর্মরত নতুনরা কি দায়িত্ব পালন করছেনা? তারাকি সংবাদ পরিবেশনে ব্যর্থ হচ্ছে?

হ্যা,

মিডিয়া হাউজগুলোতে প্রতিনিধিত্ব করছে। নতুনদের মধ্যে অনেকেই ভাল করছে। যারা পেশার প্রতি কমিটম্যান্ট সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদসেবা করার অঙ্গীকার নিয়ে এ পেশায় এসেছেন তারাই ভাল করছেন। সেইসব তরুন তুর্কি সাংবাদিকদের প্রতি লাল সালাম।

এ পেশায় আসা নতুনদের মধ্যে আজকাল দেখা যায় অস্থিরতা। তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের যোগে গতি অস্থিরতা থাকাটাইতো স্বাভাবিক। তবে সেই অস্থিরতা থাকতে হবে সময়ের সাথে যুদ্ধ করে দ্রুত গতিতে টাটকা টাটকা সংবাদ পাঠকের সামনে পরিবেশনে। বিধি বাম, চোখে পড়ে উল্টো চিত্র। রির্পোটিংয়ে অনাগ্রহ থেকে শটকাট পথে পেশায় নিজের উন্নতি, অর্থ, খ্যাতি যশ আর্জনে। ভীত গড়ার দৃষ্টি এড়িয়ে রাতারাতি উপরের সিঁড়ি খোঁজাখুঁজিতে দৌড়ের উপর। ঠিক ফাউন্ডেশনবিহীন দালানের মতো।

সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হওয়া নতুনদের উদ্দেশে বলছি, সাংবাদিকতা করতে সর্ব প্রথম জানতে হবে, সংবাদ কি, কিভাবে সংবাদ তৈরী করতে হয়, কোনটা সংবাদ কোনটা সংবাদ নয়, সংবাদে কি লেখা যাবে কি লেখা যাবেনাসহ সংবাদ সংক্রান্ত নানা টিপস। সাংবাদপত্রের আইন সম্পর্কেও সম্যক ধারনা থাকতে হবে।

রির্পোটিং করতে হলে শিখতে হবে। শেখার বিকল্প নেই।এসবের ধারে কাছেও যখন দেখিনা ছেলেপেলেদের , নতুনদের নিয়ে আগামীর স্বপ্ন দেখতে না পেয়ে মর্মাহত হয়।

আজকাল,

যারা সাংবাদিকতায় নতুন এসেছে, কিছু সময় পারও করেছে, তাদের মধ্যেও দেখি অস্থিরতা। সংবাদিকতায় রির্পোটিং শেখায় খেয়ালেই নেই। পেশায় নেমেই কিভাবে, দক্ষতা ছাড়াই দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টায় বেহুস। তাদের সম্ভল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে কপি পেষ্টতো রয়েছেই।

অধিকাংশ সাংবাদিকই রির্পোট লিখতে যানে না,আবার কয়েকজন রির্পোট করলেও ভুলত্রুটি পুর্ণ রির্পোট মেইলে যে নিউজ পাঠালাম পত্রিকা, পোর্টাল বা টেলিভিশনের অফিসে নিউজ ডেস্ক ঘুরে এডিটিং হয়ে প্রকাশিত প্রচারিত নির্ভুল রির্পোটে কি ভুল ছিল সেটাও দেখার সময় নেই। শেখার আগ্রহও নেই। কপি পেষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকে। ঘুরাঘুরি করে লেখোয়ে সাংবাদিকদের অফিসে অফিসে। কখন কাঙ্খিতজন নিউজ লেখে নিজের অফিসে পাঠিয়ে কপি দিবে। হাতে পেয়ে হবুহু মেইলে নিউজ পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ করবেন। অনেকেই মাঠ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, নিউজ সংশ্লিষ্ট ছবিও তুলেছেন কিন্তু রির্পোটিং না জানায় নিজের দেখা ঘটনা বা যেকোন বিষয় তুলে ধরে পারছেনা। যারা লিখতে জানে তাদের লিখে দিতে খোশামোদি করছে। যতক্ষন খোশামোদিতে সময় ব্যয় হয় এইটুকু রির্পোটিং শেখায় খরচ করলে পরনির্ভর হয়ে থাকতে হবে। নিজের আইডিয়া দেখা ঘটনা এমনকি সংগ্রহ করা তথ্যে নিজেই সংবাদ তৈরী করতে পারবেন। কিছু সিনিয়র সাংবাদিকদেরও নিউজ লেখায় অনাগ্রহে পেশাগত কাজে একই চিত্র দেখি। অপরের ধার করা নিউজ নিজের নামে প্রকাশ হলেও ত্প্তি নেই, নিজের সৃষ্টি যখন প্রকাশে হয়ে পাঠকের চোখে জ্বল জ্বল করে ভাসবে আনন্দই আলাদা। সেটা অন্যরকম ভাললাগার অনুভুতি।

তাই,

আমাদের আগামীর স্বপ্নবাজ তরুন সংবাদকর্মীদের বলছি, কাজে ব্রত হয়, নিজের মনে রির্পেটিং করে সাংবাদিকতায় মগ্ন হও, নিজেকে কাজে ব্যাস্ত থাকো। সাংবাদিকতায় ভাল রির্পোটার হয়ে কাজের গুণে সাংবাদিক সমাজসহ সকল মহলের আস্থা, ভালবাসা ও সাহসিকতার সহিত সাংবাদিকতা করে গণমানুষের প্রতিবাদী কন্ঠ হয়ে উঠো আগামীর জয়গান গাইতে।

লক্ষ্য অটুট থাকলে সাংবাদিকতায় দক্ষতা বাড়িয়ে ধ্যানে জ্ঞানে সংবাদসেবায় নিয়োজিত থাকলে সাফল্য হাতের মুঠোয় আসবেই। ভালো সাংবাদিক হয়ে রির্পোটিং দৌড়ে এগিয়ে থাকে দেশ ও মানুষের অধিকার আদায়ে গণমাধ্যমে তুলে ধরা বুদ্ধিবৃত্তিক এ পেশার দায়িত্ব ও কর্তব্য।

যদি,

ভালবেসে এ পেশায় নিজেকে বিলিয়ে দাও, নিজেও পাবে খ্যাতি ও সম্মান। আজ যারা তোমাদের সাংবাদিকতা নিয়ে কথা বলছে, একদিন তারাই কাজের গুনে আদার ভালবাসায় সমিহ করবে তোমাদেরকে। আমি সেই স্বপ্ন দেখি।

নতুনদের ভুল ধরে কথা বলা নয়, আমাদের দায়িত্বও রয়েছে তাদের পথা দেখানোর। নতুনের জয়গানের সুরে সুরে আওয়াজ দাও আমরাও পারি। আমরা পারবো আগামীর স্বপ্ন দেখাতে। তারপরেও সংকট সংশয় বৈষম্যের দেয়াল ডিঙ্গিয়ে তৃণমূলের সাংবাদিকতা গণমাধ্যমে গৌরবময় ভুমিকায় উজ্জল দৃষ্টান্তের স্বাক্ষর রেখে চলছে। চলবে আগামীর পথে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।