• বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২১ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুরে শিশু হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪ দেওয়ানগঞ্জে সাখাওয়াত হোসাইন মানবসেবা ফাউন্ডন্ডেশনের আয়োজনে ১৭তম চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত সরকারের পক্ষ থেকে বন্যাত্ব এলাকার মানুষের জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে–জেলা প্রশাসক ইমরান আহমেদ জামালপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি উদ্বোধন করলেন ডিআইজি বেরোবিতে কৃষি খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উপর মহামারী কোভিডের প্রভাব বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত জামালপুর সদরের নরুন্দিতে তারাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নব-নির্মিত ৪ তলা ভবনের উদ্বোধন “রৌমারী বিল অনন্য পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে” জামালপুরের ডিসি মো: ইমরান আহমেদ জামালপুরে মোটরসাইকেল চালকদের সচেতন করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন -পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ 

আইপিএলে জুয়া খেলার টাকা নিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরকে হত্যা– পিবিআই

 

ফজলে এলাহী মাকামঃ
আইপিএলে জুয়া খেলার টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবন্ধী কিশোর রুবেল মিয়াকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই জামালপুর। হত্যাকান্ডে জড়িত দুজনের মধ্যে সোহেলকে বৃহস্পতিবার সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার পাইকুড়া নয়াপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
নিহত প্রতিবন্ধী কিশোর রুবেল মিয়া(১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার কান্দুলী এলাকার মো: নূরুল হকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পিবিআই জামালপুর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এম.এম সালাহ উদ্দীন জানান, আটক সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, রুবেল মিয়া, সোহেল(১৯), সোহরাবসহ(২০) একটি চক্র শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া বাজারে নিয়মিত আইপিএলে জুয়া খেলতো। এই জুয়ার টাকা নিয়ে রুবেল মিয়ার সাথে সোহেল ও তার খালাতো ভাই সোহরাবের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট বিকালে সোহরাব ফোন করে রুবেল মিয়াকে পাইকুড়া বাজারে আসতে বলে। ওইদিন সোহরাব, সোহেল ও রুবেল একসাথে বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে বেড়ায়। পরে মাছ ধরার কথা বলে কানি বিলে নিয়ে যাওয়ার পর সোহরাব ও সোহেল পিছন থেকে রুবেলকে ঝাপটে ধরে উপুর করে কাঁদা পানিতে ফেলে দেয়। এসময় সোহেল পিঠের উপর বসে পড়ে এবং সোহরাব মাথা কাঁদায় চেপে ধরে রুবেলকে হত্যা করে।
এদিকে প্রতিবন্ধী কিশোর রুবেল মিয়া মাঝে মধ্যেই কাউকে না জানিয়ে বিভিন্ন সময় দু-তিননের জন্য বাইরে বেড়াতে যেত। তাই ১৯ আগস্ট বাড়িতে না ফিরলেও কেউ খোঁজ করেনি। কিন্তু চারপাঁচদিন চলে যাওয়ার পরও ফিরে না আসায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় গত ২৫ আগস্ট রুবেল মিয়ার বাবা নূরুল হক ঝিনাইগাতি থানায় নিখোঁজ ডায়রী করেন। ৬ সেপ্টেম্বর কানি বিল থেকে রুবেলের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পিবিআই জামালপুরের পুলিশ পরিদর্শক আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম মামলাটি তদন্ত করে নিহত রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি সোহেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এবং সোহেলকে আটক করে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।