• শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে জামালপুর বিক্ষোভ জামালপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত  জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবির অভিযানে ৫৭ বোতল ভারতীয় মদ সহ আটক -১  জামালপুরে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্প্রীতির সংলাপ অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উপলক্ষে জামালপুরে বিএনসিসির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত জামালপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একতা ক্লাব প্রাঙ্গণে লাল-সবুজের আলোকসজ্জা জামালপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা  জামালপুরে খাদ্যের নিরাপদতা এবং নিরাপদ খাদ্যের পাঁচটি চাবিকাঠি বিষয়ক আলোচনা সভা জামালপুরে জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন  জামালপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পর্যালোচনা বিষয়ক অর্ধ বার্ষিকী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত 

বকশীগঞ্জে নিয়োগে জালিয়াতি: প্রধান শিক্ষক ও তার শ্যালিকার বেতন বন্ধ

 

মতিন রহমান,বকশীগঞ্জ,জামালপুর।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং তার শ্যালিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের মাসিক বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত ২৮ আগস্ট মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পৃথক তদন্তে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

তদন্তে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ টানা ১৬ বছর ধরে তার শ্বশুরকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে রেখেছিলেন। যে কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, সেটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যায়। তবে নিয়োগ দেখানো হয় কমিটির মেয়াদ শেষের মাত্র কয়েক দিন আগে, ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে।

বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, “সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাব সহকারীকে নিয়োগ দেওয়ার আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারিনি।”

সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তারের হাজিরা খাতা থেকে জালিয়াতির আরও প্রমাণ পাওয়া যায়। তার নিয়োগের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দেখানো হলেও তিনি ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক হিসেবেই স্বাক্ষর করেছেন। শুধু তাই নয়, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে তিনি এমপিওভুক্ত হয়েছেন নিয়োগের প্রায় ১৭ মাস পর।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের স্কুলে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকও ফোন ধরেননি।

বিদ্যালয়ের বর্তমান অ্যাডহক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন খাঁন বলেন, “আমাকে কয়েক মাস থেকে সভাপতি করা হয়েছে। এই নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”

বকশীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ আজাদুর রহমান ভূইয়া জানান, প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে ছুটি নেওয়ার বিষয়ে তাদের কোনো লিখিত বা মৌখিক অনুমতি নেননি।

এদিকে, ল্যাব সহকারী মোঃ মহসিন আল সিফাতের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মাউশির শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, তার বিষয়ে গত ৩ আগস্ট শুনানি হয়েছে এবং খুব দ্রুতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।