প্রেস রিলিজ
বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রান্তিলগ্নে “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশ ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। বিভিন্ন ধরনেল চাঞ্চল্যকর অপরাধের স্বরূপ উৎঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারণেই এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অন্য নাম হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, মানব-পাচার, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে; যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
গত ২৩/০৩/২০২২ খ্রিঃ তারিখ অনুমান বিকাল ১৭.৩০ ঘটিকার ঘটনা। দীর্ঘ দিন যাবৎ ভিকটিম শেখবরের পরিবার ও জাকির হোসেন জিকুর পরিবারের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার ০২ দিন পূর্বে আসামীরা ভিকটিমের পরিবারের রোপন করা গাছ কাটিয়ে ফেলে। উক্ত বিষয়ে ঘটনার দিন ভিকটিমের মাতার শ্রীবর্দী থানায় অভিযোগের জেরে ঘটনার তারিখ ও সময় আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করার উদ্দেশ্যে দেশীয় মারাতœক প্রাণনাশক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনাধিকার ভাবে ভিকটিমদের বশত ভিটায় প্রবেশ করে বাদীর বড়ভাই ভিকটিম শেখবর (৪৫), পিতা-মোঃ মোফাজ্জল হক,সাং-পশ্চিম হালুয়াহাটি, থানা-শ্রীবর্দী,জেলা-শেরপুরকে তার নিজ বসত ভিটায় পাইয়া দেশীয় মারাতœক প্রাণনাশক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভিকটিম শেখবরকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধৃত আসামী মোঃ জাকির হোসেন জিকু জনসম্মূখে ধারালো রামদা দিয়া তার মাথার পিছনের অংশে কোপ মারিলে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। ২ নং আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৫) ধারালো ছুড়ি দিয়ে কোপ মারিলে ভিকটিমের গলার বামপার্শ্বে লাগিয়া ভিকটিমের গলার শ্বাসনালী কাটিয়া গুরুত্বর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ০১ নং স্বাক্ষী সরাফত আলী (৫৫) ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য ছুটে আসলে ধৃত আসামী মোঃ জাকির হোসেন জিকু এর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে। ভিকটিম ও ০১ নং স্বাক্ষীর চিৎকারে বাদী মোঃ মাহফুজ ছুটে আসলে ০৬ নং আসামী মোঃ ফরহাদ আলী (৪০) এর হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশের সহায়তায় আসামীদের কবল হইতে ভিকটিম শেখবর (৪৫), বাদী মোঃ মাহাফুজ (৩২) ও ০১ নং স্বাক্ষী সরাফত আলী (৫৫) দের’কে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীবর্দী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম শেখবর (৪৫)’কে ২৩/০৩/২০২২ খ্রিঃ অনুমান সন্ধ্যা ১৮.৩০ ঘটিকায় মৃত ঘোষনা করেন ও ০১ নং স্বাক্ষী সরাফত আলী (৫৫)’র অবস্থা আশংক্সকাজনক হওয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রের্ফাড করে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে। ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে শ্রীবর্দী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার ০৫ ঘন্টার মধ্যে র্যাবের নিজস্ব তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে এবং সহকারী পুলিশ সুপার এম. এম. সুবজ রানা এর উপস্থিতিতে র্যাবের আভিযানিক দল দীর্ঘ ০৪ ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করে ২৪/০৩/২০২২ ইং তারিখ অনুমানিক সন্ধ্যা ১৯.০০ ঘটিকায় শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানাধীন বালিজুড়ি এলাকার সীমান্তবর্তী দূর্গম পাহাড়ি এলাকা হতে প্রধান আসামী ১। মোঃ জাকির হোসেন জিকু (৫৫), পিতা-মৃত সরাফত আলী হাজী, সাং-পশ্চিম হালুয়াহাটি, থানা-শ্রীবর্দী, জেলা শেরপুরকে শ্রীবর্দী থানার মামলা নং-২৮/৯৯ তারিখ ২৩ মার্চ ২০২২ ইং, ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ মূলে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আশিক উজ্জামান
স্কোয়াড্রন লিডার
কোম্পানী কমান্ডার
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪১১