• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুরে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা বকশীগঞ্জে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত জামালপুরে দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি’হুইল চেয়ার ৫০ জন প্রতিবন্ধী দেওয়ানগঞ্জে ভোটের মাঠে এগিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্নী আক্তার জামালপুরে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেল ফতেমা তাবাচ্ছুম নিষ্ঠা জামালপুরে টানা ৩ বার রোবার স্কাউট কমিশনার নির্বাচিত হলেন অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা সরিষাবাড়ীতে গুলি পিস্তল ম্যাগাজিন উদ্ধার, আসামী রুকন পলাতক বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন এমপি কন্যা মাদারগঞ্জে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে চালক নিহত বকশীগ‌ঞ্জে শিক্ষার্থী‌দের সা‌থে ও‌সির মত‌বি‌নিময় সভা

ইসলামপুরে বিধবার ঘর করে দিলেন আ’লীগ নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন

মেহেদী হাসান:

ইসলামপুরে অসহায় এক বিধবা নারীকে টিনসেট ঘর নির্মাণ করে দিলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন। আজ উপজেলার কাছিমা এলাকার শাপলা বেওয়া (৬৫) কে ঘরটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন এর ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই ঘরটি নির্মাণ করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিধবা নারী শাপলা বেগম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর অভাবে সংসার চলছে। ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে থাকা কষ্ট হতো। এখন নতুন ঘর পেয়ে নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছি।

এ বিষয়ে আ’লীগ নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার চেষ্টা করছি। আমি সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। একই সাথে করোনা ভাইরাসের কারণে অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। ঈদের আগে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।আমি যেন আমৃত্যু মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি।

তিনি আরো বলেন, আসুন সমাজের অবহেলিত শাপলাদের পাশে দাঁড়িয়ে ওদের নির্ঘুম রাতের কষ্টটা একটু হলেও নিজের অনুভূতি দিয়ে স্পর্শ করি।

উল্লেখ্য, শাপলা বেওয়া ইসলামপুরের কাছিমা গ্রামের একজন ৬৫ বছর বয়সের বিধবা। তার পুর্বের বাড়ী ছিলো দক্ষিণ গিলাবাড়ী।যমুনা নদীতে বার বার তার বাড়ী ঘর ভাসিয়ে নিয়ে সে এখন পথের ভিখারি। একটি জরাজীর্ণ ঘরে দীর্ঘদিন সে দিনাতিপাত করে এসেছে। ঝড় বৃষ্টি এলে বৃদ্ধা শাপলার চিন্তার শেষ থাকেনা,ঘরটি এতোটাই ভাঙা ছিলো যে- ঘরের চালে বৃষ্টির ফোটা পড়ার আগে যেনো ঘরের ভিতরেই আগে পড়ে। ঘরের বেড়া হিসাবে বেশীর ভাগ জায়গায় কাঁথা আর পলিথিন দেওয়া ছিলো। ঝড় বৃষ্টির রাতে নিজেকে পলিথিন পেচিয়ে বসে থেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দিতেন শাপলা বেওয়া।

এখন আর রাত জেগে পলিথিন পেচিয়ে বসে থাকতে হবেনা বিধবা শাপলা বেওয়ার । ঘরটি পেয়ে অনেক খুশি শাপলা বেওয়া।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।