এম.এফ.এ মাকামঃ
বর্তমান সরকারের ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের জনবান্ধব নীতি বাস্তাবায়ন , দাপ্তরিক কাজে জনগনের ভোগান্তি কমাতে ও সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় দাপ্তরিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয়ে ই-নথিতে জামালপুর জেলা ১ম স্থান অধিকার করেছে। জামালপুর জেলা প্রশাসন বি ক্যাটাগরিতে ২৭ টি জেলার মধ্যে এপ্রিল মাসে সারাদেশে ১ম স্থান অধিকার করেছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বি ক্যাটাগরিতে ২৭ টি জেলার মধ্যে এপ্রিল মাসে সারাদেশে ১ম স্থান অধিকার করায় জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক।
পিছিয়ে থাকা জামালপুর জেলাকে এগিয়ে নিতে জামালপুর জেলায় যোগদানের পর থেকেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের গতিশীল নেতৃত্ব ,উদ্ভাবনী কলাকৌশল,বিচক্ষনতা,স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতা নিশ্চিত করে ডিজিটাল ই-নথির মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে আরও এগিয়ে গেল জামালপুর। জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক দায়িত্ব গ্রহণকালে জামালপুর ছিল ২৭ জেলার মধ্যে ২৬তম। মাত্র অল্প সময়ের ব্যবধানে এ অর্জন জেলা প্রশাসকের সৃষ্টিশীলতা,দায়িত্ববোধ,জামালপুর জেলার মানুষের প্রতি ভালবাসা, কঠোর পরিশ্রম আর জেলাবাসীর প্রতি ত্যাগেরই বহিঃপ্রকাশ। শুধু – নথিতেই নয় বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক জেলার সকল দপ্তরের সাথে নিয়মিত সমন্বয় রেখে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাচ্ছে । এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল বিভাগ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটগণও রাত দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক এর নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্টেটগণ জীবনের ঝঁিক নিয়েই এই করোনা মোবাবিলায় সাধারন মানুষের কাছে স্বশরীরে গিয়ে কিংবা ফোনের মাধ্যমে রাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দিয়ে আসছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিধি মানতে ও সামাজিক দুরত্ব বাজায় রাখতে জেলায় জনসাধারনকে নিয়মিত সচেতন করার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ী ,কালোবাজারী ও সরকারী আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে আসছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও এনডিসি মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খাঁন বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক স্যারের এর সঠিক দিক নির্দেশনাতেই আমাদের এই অর্জন। জনগনের ভোগান্তি কমাতে স্যারের নির্দেশমত আমরা সকলেই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে এই পিছিয়ে পড়া জামালপুর উন্নত ও সমৃদ্ধশালী জামালপুর হয়ে বাংলাদেশের মডেল হতে পারে। তারই বহিঃপ্রকাশ আজ ই-নথিতে বি ক্যাটাগরিতে ২৭টি জেলার মধ্যে এপ্রিল মাসে সারাদেশে প্রথম স্থান অধিকার অর্জন করা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, সরকারের জনবান্ধব নীতি বাস্তবায়নে, জনগনের ভোগান্তি হ্রাস ও সহজ করতেই আমরা নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ই-নথি তথা অনলাইনে দাপ্তরিক কাজে একদিকে মানুষ যেমন খুব দ্রুত সেবা পাচ্ছে অন্যদিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সকল বিভাগের কর্মতকর্তাগনকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি। যাতে আগামীতে এই সাফল্যের ধারা অব্যহত থাকে।
জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক এর নেতৃত্বে জেলায় প্রত্যেকটি কাজেই বাংলাদেশের মাঝে প্রথম হতে কাজ করে যাবে জেলা প্রশাসন এমনটি প্রত্যাশা জামালপুরবাসীর।