ফজলে এলাহী মাকামঃ
দোস্ত এইডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে শরিফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদাত হোসেন, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলে এলাহি মাকামসহ আরও অনেকে।
সভাপতির বক্তব্যে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, রমজান-২০২৫ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ২০০০ পরিবারের মাঝে ফুড প্যাকেট, ১ লক্ষ রোজাদারদের ইফতার করানো, এতিমদের মাঝে ঈদ পোশাক, যাকাত ও ফিতরা বিতরণ এবং ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যেই পরিকল্পনার প্রায় সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, দোস্ত এইড টিউবওয়েল ও অযুখানা স্থাপন, স্বাবলম্বীকরণ, মসজিদ নির্মাণ, শিক্ষাবৃত্তি, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, প্রতিবন্ধী পূণর্বাসন, গৃহায়ণ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনায়ন, ছানি অপারেশন, জরুরি সহায়তা প্রদান, রিকশা-ভ্যান বিতরণ, দোকান করে দেওয়া, গবাদি পশু বিতরণসহ প্রায় ৪০ টি প্রোগ্রামে দেশব্যপী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তিনি বলেন, দোস্ত নিয়মিত কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষের মাঝে সেবা পৌছে দিতে পেরেছে।
জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, দোস্ত এইড কোন প্রকার মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রামের কাজ করে না। সকল প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাস্তবায়ন করে।
তিনি দোস্ত এইডের প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক, উপকারভোগীসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সবসময় দোস্ত এইডের সাথে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকি দোস্ত এইডের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং এ কার্যক্রমের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি বলেন, দোস্ত এইড দেশব্যাপী বিভিন্ন সমাজসেবা কাজ করে থাকে যা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।তিনি সংস্থার চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, দোস্ত এইডের সকল কার্যক্রম প্রশাসনকে অন্তর্ভূক্ত করে বাস্তবায়ন করে থাকে। উপজেলা সমাজসেবা বিভাগ দোস্ত এইডের প্রকল্পসৃূহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরে অনুষ্ঠানে ৫০০ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি চাল, ৫ লিটার তেল, ডাল, লবণ, চিনি, খেজুর, মুড়ি, মশলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ৪৩ কেজি খাদ্য সামগ্রী সম্বলিত প্যাকেট বিতরণ করা হয়, যা প্রতিটি পরিবারের প্রায় ২ মাসের খাদ্য চাহিদা পূরণ করবে।