• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
দেওয়ানগঞ্জে ভোটের মাঠে এগিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্নী আক্তার জামালপুরে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেল ফতেমা তাবাচ্ছুম নিষ্ঠা জামালপুরে টানা ৩ বার রোবার স্কাউট কমিশনার নির্বাচিত হলেন অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা সরিষাবাড়ীতে গুলি পিস্তল ম্যাগাজিন উদ্ধার, আসামী রুকন পলাতক বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন এমপি কন্যা মাদারগঞ্জে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে চালক নিহত বকশীগ‌ঞ্জে শিক্ষার্থী‌দের সা‌থে ও‌সির মত‌বি‌নিময় সভা জামালপুরে ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সপ্তাহের সমাপনী বকশীগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে নিজের নিরপেক্ষতা জানিয়ে পত্র দিলেন এমপি নূর মোহাম্মদ ইসলামপুরে সেফটিক ট্যাংক খননের সময় মাটি চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

বকশীগঞ্জে কিন্ডার গার্টেন শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপন

জিএম সাফিনুর ইসলাম মেজর, বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে অর্থের অভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কিন্ডার গার্টেন (কে.জি) এর শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এতে করে তারা দুশ্চিন্তা ও ঋন করে কোন মতে সংসার চালাচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে কেজি স্কুল গুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৫২ টি কিন্ডার গার্টেন (কে.জি) বিদ্যালয় রয়েছে। সব মিলিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৬৫০ শিক্ষক-কর্মচারী কেজি বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত রয়েছেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেন। সেই থেকে কয়েক দফা এই মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু সবশেষ ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে হতাশায় পড়ে যান কেজি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রায় ৫ মাস ধরে প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন আদায় করতে না পেরে ধার-দেনা, ঋন করে সংসার চালাচ্ছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। বেশিরভাগ কেজি স্কুলের শিক্ষকরা আর্থিক সংকটে ভুগছেন। অনেকেই শুধুমাত্র কেজি স্কুলের ওপর নির্ভর করেই সংসার চালাতো।
করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা পরিবার নিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে দিনানিপাত করছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ানোও বন্ধ করে দিয়েছেন শিক্ষকরা। ফলে পুরোপুরি আয়ের পথ বন্ধ রয়েছে কিন্টার গার্টেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। আবার সম্মানের ভয়ে যেমন তেমন কাজও করতে পারছেন না এইসব শিক্ষকরা।
এমতাবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনানিপাত করছেন তারা।
এসব শিক্ষকরা করোনা উপলক্ষে প্রনোদনা চেয়েছেন সরকার প্রধানের কাছে। তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর প্রনোদনা চেয়ে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায়নি। তারপরও তারা প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে রয়েছেন।
ডলফিন আইডিয়াল একাডেমির অধ্যক্ষ জাকিউল ইসলাম সোহেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় অনেক সেক্টরকে ও কর্মহীনদের জন্য প্রনোদনার ব্যবস্থার করেছেন তাই আশা করছি তিনি আমাদের দিকেও নজর দিবেন।
এ বিষয়ে জিনিয়া ওমর মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী জানান, আমাদের কয়েকশ শিক্ষক করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন। বিদ্যালয় গুলো বন্ধ থাকায় অভিভাবককরা বেতন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে শিক্ষকরা অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন
তিনি সরকারের কাছে কেজি শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রনোদনা দেওয়ার জোর দাবি জানান। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয় গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম খুলে দেওয়ার জাবি জানান

জিএম সাফিনুর ইসলাম মেজর


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।