• শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
রাজশাহীতে খুন বিচারক পুত্রের দাফন সরিষাবাড়ীর নিজ বাড়িতে সম্পন্ন সানন্দবাড়ীতে মাল্টি -স্টেকহোল্ডারস প্লাটফর্ম এমএমপি গঠন ও পরিকল্পনা প্রণায়ন সভা  জামালপুরে স্থিতিশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জামালপুর পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে আর্থিক অনুদান প্রদান জামালপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয় বাড়াতে ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি’র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা এসিস্ট্যান্ট এটর্নি জেনারেল হলেন এডভোকেট ফারুক হোসেন জামালপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণের দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের নবাগত অধ্যক্ষকে রক্তের বন্ধনের শুভেচ্ছা জামালপুর সদরে সৌদি সরকারের প্রেরিত কোরবানির গোশত সঠিক ভাবে বিতরন সম্পন্ন

“ করোনায় নয়- পরিবার নিয়া না খাইয়া মরমু” ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবিতে বিক্ষোভ  

 

 

এম.ইউ শাকিল ( জামালপুর সংবাদদাতা ) ॥

“আমি ইসক্যা চালাই খাই, এ্যাহন ইসক্যা চালানি বদ্দ (বন্ধ)। আমার ঘরে খাউয়ে ৬ জন।  দিনে এক বেলার খাউন জোগার করবার পাইতাছি না, এ্যামনে আর কয় দিন গেলে, করোনায় নয়- পরিবার নিয়া আমি না খাইয়া মরমু”। আজ শনিবার ( ১১ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর শহরের কাচারী পাড়া এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক বাবর আলী বাবু কান্না জড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন।

এদিকে জামালপুর পৌরসভার কাচারী পাড়া খালেকের দোকান মোড় ও নাট্যকার এসএম হুদা সড়ক এলাকায় একই দিন দুপুরে কর্মহীন নি¤œ আয়ের অসহায় শতাধিক মানুষ খাদ্য সহায়তার জন্য বিক্ষোভ করেছেন। এসময় সরকারি অনুমান বিতরনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন দাবি করেছেন তারা।

 

স্ব-স্ব বাড়ির সামনে ও রাস্তায় সামাজিদ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ঘন্টাব্যাপী দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা এবং তাদের হাতে ছিল “ত্রাণ চাই-বাঁচতে চাই, কেউ খাবে কেউ খাবে না- স্বাধীন দেশে তা হবে না, সরকারি ত্রাণ চুরি হয় কেন- প্রশাসনের কাছে জবাব চাই, গরীবের জন্য সাহায্য দিবে সরকার-খাবে শুধু মেম্বার- তা হবে না- তা হবে না, দেশে করোনা ভাইরাসের সাথে সাথে সমানভাবে বাড়ছে চাল চোর, আমাদেরকে দেখার মত কেউ নেই, সরকারি অনুমান বিতরনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চাই-সহ বিভিন্ন প্লেকার্ড ।

 

এ সময় জোসনা, গাজী, মন্টু, হনুফা বেগম, রুস্তম, জাহানারাসহ একাধিক ব্যক্তি কান্না জড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমরা এই এলাকার একজনও সরকারিভাবে কোন অনুদান পাইনি। কাজ করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে- অর্ধহারে আছি। আমাদের ধারণা, এভাবে আর কয়দিন চলতে থাকলে করোনা ভাইরাসে নয় বরং না খেয়েই আমরা মারা যাব।

এছাড়াও চা বিক্রেতা রুস্তম ও বাবুল বলেন, “অনেক দিন হলো চা-পান ব্যাচবার পাইতাছিনা, দোকান বদ্দ (বন্ধ )। পরিবার-পরিজন নিয়া অনেক সময় না খাইয়া থাহি।”

 

এদিকে খিচুরী বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন,  দোকান বদ্দ (বন্ধ)। হাতে যা ট্যাহা আছিল তাও শেষে। ঘরে খাবার নাই,  এখন কি খামু, কিব্যাই চলমু।  চিন্তায় ঘুম আহে না ।

 

অন্যদিকে ওই এলাকার কাচারীপাড়া মসজিদ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সাংবাদিকদের জানান, কয়েক দিন আগে কাচারীপাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মহীন ৩০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেয়। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। এছাড়াও কাচারীপাড়া যুবসমাজকে নিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।