• শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
রাজশাহীতে খুন বিচারক পুত্রের দাফন সরিষাবাড়ীর নিজ বাড়িতে সম্পন্ন সানন্দবাড়ীতে মাল্টি -স্টেকহোল্ডারস প্লাটফর্ম এমএমপি গঠন ও পরিকল্পনা প্রণায়ন সভা  জামালপুরে স্থিতিশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জামালপুর পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে আর্থিক অনুদান প্রদান জামালপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয় বাড়াতে ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি’র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা এসিস্ট্যান্ট এটর্নি জেনারেল হলেন এডভোকেট ফারুক হোসেন জামালপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণের দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের নবাগত অধ্যক্ষকে রক্তের বন্ধনের শুভেচ্ছা জামালপুর সদরে সৌদি সরকারের প্রেরিত কোরবানির গোশত সঠিক ভাবে বিতরন সম্পন্ন

জামালপুরে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ ৬ জনের আদালতে আত্মসমর্পন

আসমাউল আসিফ ঃ
জামালপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী চাচাসহ ৬ জন আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণার পর রবিবার দুপুরে তারা আত্মসমর্পন করেন।
রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নিহত মোমিনের চাচা আনছার আলী প্রমানিক, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর ৫ আসামী কলম প্রমানিক, শাহীন, সাইদুল, শাইবানু, শাবজান আত্মসমর্পন করেন। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো: জুলফিকার আলী খাঁন। আসামী পক্ষের আইনজীবি মোকাম্মেল হক জানান, আসামীগনের অনুপস্থিতে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়ায় তারা ন্যায়বিচার পায়নি, যেহেতু মামলার রায় হয়েছে তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসামীগণ আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য আপিল করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি নির্মল কান্তি ভদ্র বলেন, মোমিন হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত সকল পলাতক আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেছে, আশা করছি আদালতের রায় বহাল থাকবে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জামালপুর সদরের কুমারঘাতী এলাকার রইচ উদ্দিনের বড় ছেলে মমিনের সাথে তার চাচা আনছার আলী ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার একপর্যায়ে আনছার আলী তার ভাতিজা মমিনের মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুত্বর আহত হয়। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুইদিন পর মমিনের মৃত্যু হয়। এঘটনার পরে নিহতের বাবা রইচ উদ্দিন তার ছোট ভাই আনছার আলীসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর হত্যাকান্ডের ১৩ বছর পর মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে নিহত মমিনের চাচা আনছার আলীকে মৃত্যুদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা এবং অপর পাঁচ আসামীকে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ মো: জুলফিকার আলী খাঁন। এতদিন মামলার সকল আসামী পলাতক ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।