ফজলে এলাহী মাকামঃ
দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ উপকরণ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফরহাদ আলী। তিনি বলেন, “ শিক্ষা উপকরণের ঘাটতি শিক্ষার্থীদের বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের সহায়তা তাদের নিয়মিত পড়াশোনা ও মানোন্নত শিক্ষা গ্রহণে সহায়ক হবে। দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটি যেভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এটি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির হেড অব অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন কহিনুর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “শিক্ষা ছাড়া কোনো সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা চাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও যেন সমান সুযোগ নিয়ে পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে পারে। তাই এ ধরনের উদ্যোগ শুধু শিক্ষা নয়, সমাজ পরিবর্তনেরও একটি অংশ। আমাদের এই উপকরণগুলো প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নতুন করে উৎসাহ জোগাবে। ”
শিক্ষার্থীদের হাতে বিতরণ করা উপকরণের মধ্যে ছিল স্কুল ব্যাগ, ক্যালকুলেটর, জ্যামিতি বক্স, পেন হোল্ডার, পেন্সিল বক্স, এক ডজন কলম, স্কেল, তিনটি পেন্সিল ও এক ডজন খাতা। নতুন উপকরণ হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত হয়ে জানায়, এগুলো তাদের পড়াশোনায় আরও আগ্রহী হতে উৎসাহ দেবে।
শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এ উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পূর্ব শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা বলেন, “আমাদের অনেক শিক্ষার্থী উপকরণের অভাবে পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে। আজকের এই সহায়তা তাদের শিক্ষাজীবনকে আরও সহজ করবে।”
আমডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের চোখে আজ যে আনন্দ দেখেছি, সেটি তাদের মনোযোগী হওয়ারই ইঙ্গিত দেয়। এ ধরনের সহায়তা শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অভিভাবকেরাও দোস্ত এইডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “অভাবের কারণে সন্তানদের সবসময় প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে দেওয়া সম্ভব হয় না। এ সহায়তা আমাদের বোঝা অনেকটা লাঘব করেছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দোস্ত এইডের প্রোজেক্ট ম্যানেজার আবুল কায়েস, আইটি ম্যানেজার সম্রাট বাবর, পিআরও মুজাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও সুধীজন।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে উপকরণ তুলে দেন এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।