• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুর সদরে চুরি হওয়া ১৭ মোবাইল উদ্ধার করলো সদর থানা পুলিশ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিন্ডিকেট সদস্য হলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন অর রশিদ জামালপুর সদরের শ্রীপুর ভালুকায় কৃষক সুরুজ আলীর জমি দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বকশীগ‌ঞ্জে ট্রাক চাপায় আইনজীবীর মৃত্যু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদেরকে সার্বিকভাবে চৌকস হয়ে উঠতে হবে-ধর্মমন্ত্রী আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর জামালপুরে হতদরিদ্র ২০০০ পরিবার পেল যুবনেতা ফারহান আহমেদ এর ঈদ উপহার হতদরিদ্র এক হাজার পরিবার পেলে জামালপুর জেলা প্রশাসনের ঈদ উপহার  জনতার পুলিশ স্টোর জামালপুর থেকে দুই টাকায় মিললো ঈদ সামগ্রী অসহায়দের মাঝে জামালপুর ৩৫ বিজিবির খাদ্য সামগ্রী বিতরন

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সানন্দবাড়ীতে প্রতিবন্ধি শাহিদার আর্তনাত

মোস্তাইন বিল্লাহ  দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সানন্দবাড়ীতে প্রতিবন্ধি শাহিদার আর্তনাত শোনার কেউ নেই।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম সানন্দবাড়ী লম্বাপাড়া।  একটি দরিদ্র পরিবার ছফর আলী তার সহধর্মীনি শামেলা বেগমকে নিয়ে সুখের সংসার করছিল।তাদের ঘরে জন্ম নেয় একে একে তিন সন্তান, মোছাঃ শাহিদা( ২২), বাবুল(১৮) , লাভলু (১৫) । বিধিবাম শাহিদা প্রতিবন্ধি হয়ে জন্মেছে। তার ছোট ভাই বাবুল  সে বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি।   পিতা  ছফর আলী মারা যাবার পর  মাতা শামেলা বেগম ছোট সন্তান লাভলুকে   নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছে।

লম্বাপাড়া গ্রামে গরীব দুঃখি প্রতিবন্ধি শাহিদার কাঁন্নায় বাতাশ ভারি হয়ে আসছে। একদিকে করোনার ভয় অন্যদিকে অভাব অনটন, দেখার কেহ নেই। চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক নেতা, সমাজ সেবক কেউই পার্শ্বে নেই। প্রতিবন্ধি শাহিদা পিতাহারা উপার্জনক্ষম পরিবারের বড় মেয়ে।

ছোট ভাই বাবুল বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি আরেক ভাই লাভলু বিধবা মাকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার।

 প্রতিবন্ধি শাহিদা সানন্দবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করে সে বসে নেই। তার আখাংকা আরো লেখাপড়া করবে। কিন্ত এই গরীব সংসারে লেখা পড়া কি সম্ভব? তার মা শামেলা বেগম কষ্টকরে দুপয়সা যোগার করে একবেলা না খেয়ে মেয়ের জন্য টাকা যোগার করে কাগজ কলম কিনে দিত। সানন্দবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক (অব:)আলহাজ্ব  আজিজুর রহমান শাহিদাকে নিযে কবিতা লিখে তার লেখা পরার উৎসাহ করে।  লেখা পড়া, পরীক্ষা ফরম ফিলাপ করার সময় সানন্দবাড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী  শিক্ষকগন সহযোগিতা করেছেন।

শাহিদার সংগ্রাম থেমে নেই, সে গরীব হলেও তার মনের আখাংকা ছিল অনেক বড়। সে সানন্দবাড়ী ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০১৭ সালে ডিগ্রী পাশ করে।প্রতিবন্ধী শাহিদাকে লেখাপড়া চালিয়ে যাবার জন্য অত্র  কলেজের অধ্যক্ষ সহ শিক্ষকগন উৎসাহ যোগিয়েছেন।

২০১৭ সালে বিএ পাশ করে নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য শাহিদা ৩ মাস মেয়াদি কম্পিউটার প্রশিক্ষন করে। শাহিদা আরো জানায় আমি  বাড়ীর সামনে রাস্তার সাথে ছোট দোকান দিছি। অতি কষ্টে পায়ে টিপে কম্পিউটারের কাজ করি।বর্তমান করোনাভাইরাসের কারনে লকডাউনের জন্য দোকান বন্ধ। এখন আয় রোজগার না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বড়ই কষ্টে দির যাপন করছি। কোন বিষয় জানতে চাইলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে, বৃষ্টির ফোটার মত চোখে জল গড়িয়ে পড়লো।

সে বলে ইউনিয়ন নির্বাচন আসলে সব নেতা, প্রার্থী এসে বলেন, আপনারা আমাদের ভোটার,  ভোট দেন। পরে দেখবো। নির্বাচনের পরে আর কেহ খোজ খবর নেয়না।প্রতিবন্ধী শাহিদা আরো বলেন, আমি হাটতে পারি না, কিছু ধরতে পারি না। লেখা পড়া করার জন্য মানুষের দ্বারে হাত পাততে পারি না।লজ্জা কি করি? দুঃখ করে বলেন আমাদের এলাকায় অনেক সামর্থবান ব্যাক্তি রয়েছে, কিন্ত অনেক দিন গড়িয়েছে কোন ব্যাক্তি এক কেজি চাউল নিয়ে এগিয়ে আসেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।