• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :

সেলুট জানাই -করোনা যোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম বুলবুল

ফজলে এলাহী মাকাম :
যে মানুষটি এই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সাধারন রোগীসহ,প্রশাসনকে করোনা মোকাবিলায় সহযোগীতা করা, কিংবা রাতের আধারে অসহায় মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে, যে ছিল সকলের প্রিয় বন্ধু,ভাই কিংবা কারো পথ চলার দিক নির্দেশক, সেই মানুষটিই আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। সে আমাদের অপরিচিত কেউ নয় ভদ্র,সদালাপি, বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল। বর্তমানে ডাক্তারের পরামর্শে হোম আইসোলেশনের রয়েছে। জেলাবাসী তথা বুলবুলের শোভাকাঙ্খি যারা রয়েছে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছে সে। বুলবুল সম্পর্কে আমাদের অনেক কথাই অজানা। ২৫ মার্চ থেকে করোনা মোকাবিলায় তার নিজের টেস্ট দেওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত সে তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান শাহ জামাল হসপিটাল সাধারন রোগীদের জন্য ২৪ ঘন্টা খোলা রেখেছে। কোন রোগী যাতে বিনা চিকিৎসায় ফেরত না যায় তার জন্য বুলবুলের প্রচেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মত। করোনা মোকবিলায় প্রশাসনকে সহযোগীতা করার পাশাপাশি বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে জেলার সকল ক্লিনিক মালিকদের ২৪ ঘন্টা ক্লিনিক খোলা রাখার জন্য নোটিশ দিয়ে এবং তা নিয়মিত মনিটরিং করেছে সে। করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে করোনা মোকাবিলায় সরকারের দিক নির্দেশনা কি তা পালন করেছে। শুধু তাই নয় অভুক্ত,অসহায়,কর্মহীন ও যারা মানুষের কাছে চাইতে পারে না এমন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোকে রাতের আঁধারে নিজে ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে।
বুলবুলের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনাও আরেক জনকে সহযোগীতা করতে গিয়ে  ।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরেক  যোদ্ধা যিনি জামালপুর সদরের সদ্য যোগদান কৃত এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম। গত মঙ্গল বারে সদরের এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগমের বাচ্চা খুবই অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য বুলবুলের হাসপাতালে আসে। বুলবুল আল্ট্রা করার জন্য এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম সহ আর বাচ্চা কে নিয়ে জিয়া হেলথ গিয়ে ডাঃ উর্মি কে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করে বাচ্চার আল্ট্রা করিয়ে সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ জহিরের কোয়াটারে গিয়ে রিপোর্ট দেখাতে নিয়ে যায় সে। পরে একই গাড়ীতে করে বুলবুলকে তার বাসায় নামিয়ে দিয়ে যায় এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম । পরবর্তীতে খবরে এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়। তাই বুলবুল যেহেতু তার গাড়ীতে উঠে ছিল সেই সন্দেহ বসত করোনা পরীক্ষা করতে গেলে আর তিন তারিখে রিপোর্ট আসে বুলবুলও করোনায় আক্রান্ত।

বর্তমানে বুলবুল জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জন এর পরামর্শ ক্রমে তার নিজ বাসাতেই আইসোলেসনে থাকার পাশাপাশি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুল হক এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। বুলবুল সেদিন কোন না কোন অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারতো। ফিরিয়ে দিতে পারতো এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগমকে। কিন্তু বুলবুলের বিবেগ তা করেনি। অন্য দশ জনের মত সে না। করোনা মোকাবিলায় নিজেকে বিপন্ন করেও মানুষের সেবায় নিয়োজিত রেখেছে সর্বদা। সেলুট জানাই আশরাফুল ইসলাম বুলবুলকে। করোনা যুদ্ধে আল্লাহ তোমাকে সুষ্ঠতা দান ও হেফাজত করে আবারো মানুষের সেবায় ব্রত করবে। বন্ধু মোঃ ফজলে এলাহী মাকামের পক্ষ থেকে দোয়া ও শুভ কামনা রইল।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।