• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
শপথ নিলেন বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাজাহান মিয়া জামালপুরে ৩৫ বিজিবির পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থ্যদের  মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  পাররামরামপুর ইউনিয়নের উত্তর মোয়ামারী বাজারে পৈএিক রেকর্ডিও সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরির জীর্ণতা দূর করে আধুনিকায়ন করতে হবে — আবুল কালাম আজাদ এমপি সাহিত্যের সব জায়গায় বিচরণ ছিল তালাত মাহমুদের : শেরপুরে কবি সংঘের স্মরণসভায় বক্তারা আলগারচরে “যুবরাজ” ভুট্টার বাম্পার ফলন  জামালপুরে বিশ্ব পানি দিবস পালিত জামালপুরের বকশীগঞ্জে শাখাওয়াত হোসাইন মানবসেবা ফাউন্ডেশনের বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত  জামালপুরে “বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৪”পালিত জামালপুরে অর্থের বিনিময়ে পুলিশে চাকরির প্রতিশ্রুতি, ৩ জন আটক

নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বান্ডাল নির্মান

 

সহিজল ইসলাম, রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি
প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয় বসতবাড়ি ও আবাদি জমি।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয় ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁধ হবে কিন্তু বাঁধ আর হয় না। এবছরও বাঁধ নির্মানের কোন উদ্যোগ নেই তাই স্থানীয়  স্বেচ্ছাসেবী আমিনুর রহমান নিজ উদ্যোগে এলাকার তরুণদের নিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধে নির্মাণ করছেন বাঁশের বান্ডাল।
আজ বৃহষ্পতিবার রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চর সাজাই গ্রামে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নির্মাণ করা হয়েছে ৬০ ফিট দৈঘ্য বিশিষ্ট বাঁশের বান্ডাল।পর্যায় ক্রমে এভাবে ১৫ টি বান্ডাল নির্মান করা হবে যাতে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন থেকে প্রতিরোধ হয় চর সাজাই মধ্য পাড়া নামের গ্রামটি।নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে আছে এই ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাটি, পাইকানটারি, বল্লভ পাড়া,সাজাই কারিগর পাড়া, শংকর মাধবপুর নামের গ্রামগুলোর হাজারো মানুষ।সহায়তা পেলে এই গ্রাম গুলোকে রক্ষায়ও নির্মান করা হবে বাঁশের বান্ডাল।
স্বেচ্ছাসেবী আমিনুর রহমান এই কাজের মূল উদ্যোক্তা। তার সাথে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় তরুণের।এলাকার প্রতিটি বাড়ি থেকে বাঁশ সংগ্রহ করা হয়।সেই সাথে সামর্থ অনুয়ারী আর্থীক সাহায্যও করে স্থানীয়রা। সেগুলো দিয়েই তৈরী করা হচ্ছে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের বাঁশের বান্ডাল।
চর সাজাই পূর্ব পাড়া গ্রামের হানিফ উদ্দিন(৫৫) নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন,প্রতি বছর শুনি বাঁধ হবে কিন্তু বাঁধ আর হয় না। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সফের আলী বলেন অনেক চেষ্টা করা হয়েছে যাতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয় প্রশাসন থেকে কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয় নি।প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের ফলে ইউনিয়নের অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারায়।কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
প্রতিটি বান্ডাল নির্মান করতে প্রায় ৪০০০ টাকার মত খরচ হয়। শ্রমিক খরচেই চলে যায়৩৬০০ টাকা হয়।এই টাকা বেশিরভাগ সময় মানুষ সহায়তা করে।কখনও সংকট হলে আমিনুর রহমান নিজেই বহন করে।এছাড়াও বান্ডাল নির্মান কাজের জন্য নিজেই একটি শ্যালোমেশিনও কিনেছেন।
গত কয়েক বছর থেকে আমিনুর রহমান নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বান্ডাল নির্মান করছেন।প্রথমে এলাকার অনেকেই বিষয়গুলোকে পাগলামি ভাবত আড়চোখেও দেখত।তবে এখন প্রায় সবাই প্রশংসা করে।
নদীতে বাঁধ নির্মানের বিষয়ে আমিনুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,প্রশাসন শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় বাস্তবায়ন আর হয় না। প্রতিবছর ভাঙ্গনে বিস্তৃত এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হয়।তাই এলাকার তরুণদের নিয়ে নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি বান্ডাল নির্মান করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের। ভাঙ্গন প্রতিরোধে এই পদ্ধতি  শতভাগ কার্যকর না হলেও বেশ সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু বলেন,বর্ষা আসলেই নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তার ইউনিয়ন।আমিনুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন লোকটি কাজ পাগল এলাকায় নানা সামাজিক নানা কাজে তিনি অংশগ্রহণ করেন। নিজের উদ্যোগে গ্রামের তরুণদের নিয়ে বাঁশ সংগ্রহ করে নদীতে বান্ডাল নির্মান করছে বলেও শুনেতি।গত বছরও তিনি বান্ডাল নির্মান করেছিলেন এতে ওই এলাকার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে হয়েছিল।পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বাঁধ নির্মানের একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে কিন্তু অনুমোদন হয় নি বলেও জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।