এম.এফ.এ মাকামঃ
আবারো মহানুবতার পরিচয় দিলেন জামালপুরের মানবিক পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ।একের পর এক মানবিক কাজ করে যে ইতি মধ্যেই জেলা বাসির আইকন হিসেবে পরিণত হয়েছেন। তেমনই একটি কাজ করে পাশে দাঁড়ালেন জামালপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডে রামনগর এলাকায় টিনের চালা আর পলিথিনের বেড়া দেওয়া ছাওনিতে খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করা মৃত আলী আকবরের স্ত্রী ও সন্তানদের পাশে।
অভাবের তাড়নায় স্ত্রী সন্তান রেখে স্বামীর আত্মহত্যায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় বিধবা স্ত্রী পেয়েছে ঘর । আর পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ এর মানবিক বিবেকের তাড়নায় পরিবারটিকে সাবলম্বি করতে নিজে সেই বাড়িতে গিয়ে মৃত আলী আকবরের স্ত্রী ছয় সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের হাতে তুলে দিলেন নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিছুদিন েআগে অভাবের সংরার আর দৈন্যতার কাছে পরাজিত হয়ে আলী আকবর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তারপর তার স্ত্রী ছয় সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পরেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা’র গৃহহীন দের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মৃত আলী আকবরের পরিবার মাথা গোজার ঠাঁই পায়। কিন্তু অভাব যে তাদের নিত্য সঙ্গী,এই অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তারা।
স্থানীয় মানবাধিকার কমী ,সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম এঁর মাধ্যমে এই পরিবারের খবর পান জামালপুর জেলার মানবিক পুলিশ সুপার, জনাব নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তার কথা শুনেই পুলিশ সুপার ছুটে যান তাদের কাছে। প্রধান মন্ত্রী’র দেওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেন। মৃত আলী আকবরের স্ত্রী’র হাতে নগদ ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা প্রদান করেন, এবং বলেন এই টাকা দিয়ে যেন সাংসারিক কাজে ব্যয় করে। বাকি টাকা দিয়ে যেন গবাদি পশু বা সেলাই মেশিন কিনে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে মানবিক পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ জেএমনিউজ২৪ডট কম কে জানান, মানুষ মানুষের জন্য।প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে মাথা গোজার ঠাই হয়েছে পরিবারটির।আর আমি আমার বিবেগ থেকে অসহায় এই পরিবার টির পাশে সামান্য কিছু নিয়ে তাদের সাবলম্বি করার চেষ্টা করেছি মাত্র। সমাজের বিত্তবান ও বিবেগবান প্রতিটি মানুষদের অসহায়দের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাবলম্বি করতে পারলে আমরা আগামীর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
সব মিলিয়ে মানবিক পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ যোগদানের পর থেকেই মাদক,সন্ত্রাস,ইভটিজিং ও চুরি প্রতিরোধ সহ জেলার ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি প্রতিটি পুলিশী দপ্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আসন সংরক্ষন,হতদরিদ্রদের অর্থিক অনুদান,অসুস্থ্য রোগীদের নিজের বেতনের টাকায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে জেলা বাসী হৃদয়ের মনিকোঠায় মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।