• রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
দেওয়ানগঞ্জে সময়ের কণ্ঠস্বরের ১ যুগপূর্তি উদযাপন মানবতার সেবায় জামালপুর সদরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াল দোস্ত এইড জামালপুরে প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ও কলেজের নামে মিথ্য অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৮ টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা জামালপুর সদরে দোস্ত এইডের টিউবয়েল পেল ৫০ টি পরিবার অবশেষে সেই মেয়েকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর বকশীগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ জামালপুরে চাঁদাবাজির সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক জামালপুরে উন্নয়ন সংঘ সিডস প্রকল্পের উদ্যোগে ফলজ গাছের চারা বিতরন

মরহুম আলী আকবরের পরিবারের পুনর্বাসনে জামালপুর জেলা প্রশাসন

এম.এফ,এ মাকামঃ
সম্প্রতি পরিবারের ১৪ বছর বয়সী মেয়ের অবাঞ্ছিত সন্তান প্রসব ও নিখোঁজ হবার ঘটনা, সামাজিক লাঞ্ছনা এবং অধিক সন্তানের কারণে সংসারে অভাব অনটন সহ্য করতে না পেরে গত ৮ এপ্রিল আত্মহত্যা করে আলী আকবর। পরিবারটির পুনর্বাসনে এগিয়ে আসে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আলী আকবরের বিপদাপন্ন পরিবারের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান মরহুম আলী আকবরের স্ত্রী মর্জিনার হাতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা মূল্যের একটি অটোরিক্সা হস্তান্তর করেন। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লরেন্স লিটুস চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়াত আলী ফকির, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, রামনগরের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ, আলী আকবরের ছোট ভাই আলিফ প্রমুখ। এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে দুটি ছাগী এবং পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমদের পক্ষ থেকে একটি বকনা গরু বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ দুই বছর আগে দিনমজুর মরহুম আলী আকবরের স্ত্রীর জমজ সন্তান বিক্রি করে দেয় অভাবী স্বামী। সন্তান হারিয়ে স্ত্রীর আহাজারির খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের সহায়তায় বিক্রি হয়ে যাওয়া নবজাতক সন্তানদের উদ্ধার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী, মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিন্টু মায়ের কোলে ফেরত দেন। এ ঘটনার খবর শোনে তৎকালিন জেলা প্রশাসক এনামুল হক মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেন।
জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামানের নির্দেশে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে আলী আকবরের দুই এতিম ছেলেকে সরকারি শিশু পরিবারের নিবাসী হিসেবে রাখা হয়। অপর একটি ছেলেকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হবে বলে জানা যায়।
অটোরক্সা পেয়ে আলী আকবরের বিধবা স্ত্রী মর্জিনা বেগম আবেগ আপ্লুত হয়ে জেলা প্রশাসক ও তার পুনর্বাসনের কাজে যারা সহায়তা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।