• সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুর শহরের সরদারপাড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর // থানায় অভিযোগ দায়ের বকশীগঞ্জে ভিডব্লিউবি, ভিজিডি প্রকল্পের লটারি: স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত স্থাপন জামালপুরে জিপিএ -৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫২৪ জন-জামালপুর সরকারী ‍বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েপাশের হার শতকরা ৯৮.৩০ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে একাউন্টিং ক্লাব উদ্বোধন জামালপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ আট পরিবারের মাঝে ১০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র বিতরণ বকশীগঞ্জ পৌরসভায় ফুটপাত ও সড়ক দখল: জনদুর্ভোগ চরমে বকশীগঞ্জে মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন দেওয়ানগঞ্জে সময়ের কণ্ঠস্বরের ১ যুগপূর্তি উদযাপন মানবতার সেবায় জামালপুর সদরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াল দোস্ত এইড জামালপুরে প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ও কলেজের নামে মিথ্য অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জামালপুরে মোটরসাইকেল চালকদের সচেতন করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন -পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান

ফজলে এলাহী মাকামঃ

পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়, নিরাপদে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলমেট পড়ুন” -এমন শ্লোগানে সামনে রেখে হেলমেট পরিহিত মোটরবাইক চালকদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং চকোলেট দেয়া হয়।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় শহরের ব্যস্ততম এলাকা দয়াময়ী মোড়ে চলাচলকারী মাথায় হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা ও চকোলেট উপহার দিয়ে এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম, পুলিশ সুপার, জামালপুর মহোদয়।

ট্রাফিক আইন যথাযথ মানা এবং মাথায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটরসাইকেল চালকদের আরও সচেতন করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে জামালপুর জেলা পুলিশ ও জামালপুর ট্রাফিক বিভাগ।

এ সময় শহরের ব্যস্ততম রাস্তা দয়াময়ী মোড় চত্বর এলাকায় মোটরবাইক চালকদের থামিয়ে সড়কে চলাচল বিষয়ে সচেতন করাসহ বাইক ব্যবহারকারীদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়। এছাড়াও যে সকল চালকদের হেলমেট ছিল না, তাদেরকে চকোলেট দিয়ে সতর্ক করা হয়।

মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন চালানো রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এতে দুর্ঘটনার কবল থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সুরক্ষায় থাকবেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে তার পরিবারটি নিরাপদ থাকবে।

তিনি আরও জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ট্রাফিক আইনে বড় অপরাধ। তাই এসব চালকদের সচেতন করতেই পুলিশ মাঠে নেমেছে। এসময় কতিপয় মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদেরকে জরিমানা না করে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পুলিশের ফুল ও চকোলেট উপহার পেয়ে খুশী মোটর সাইকেল চালকরা জানান, যখন পুলিশ থামতে বলে ভেবেছিলাম না জানি কোন বিষয়ে ধরা খাইছি। প্রথমে ভয়ে ভয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ সুপার নিজ হাতে ফুল ও চকোলেট দিলে অনেক অবাক হয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ ।

আরেক মোটরবাইক চালক বলেন যখন আমারে থামাইলো পুলিশ, বললো হেলমেট নেই কেনো। খুব ভয়ে ছিলাম, না জানি কত জরিমানা হয়, কী শাস্তি হয়। কিন্তু এসপি সাহেব মোটরবাইকের চাবি প্রথমে নিলেও ভালোভাবে আমাকে হেলমেট পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, আইন মানতে বলেছেন। একপর্যায়ে চকোলেট দিয়ে হাতে বাইকের চাবিটাও ফিরিয়ে দিয়েছেন। এসময় পুলিশ আমাকে সতর্ক করে বলেছে, আজ ছাড়লাম, পরে যেন আর ভুল না হয়। হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানো আমাদের জন্যই তো ভালো। পুলিশের এমন ব্যবহারে আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।

পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, চকলেট উপহার দিয়ে সতর্ক করেছি। এটি জামালপুর জেলা পুলিশের এটি একটি চলমান কার্যক্রম। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে এবং মোটরবাইক চালকদের হেলমেট পড়তে উৎসাহ যোগাতে এরকম ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ ভবিষ্যতেও সকল থানা পর্যায়ে অব্যাহত থাকবে।

এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ট্রাফিক বিভাগ কর্মরত পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ: প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।