এম এফ এ মাকামঃ
জামালপুর শহরের গবা খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে । শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে শেখেরভিটা এলাকা থেকে খালটির চারটি পয়েন্টে প্রাথমিক ভাবে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়। এই কার্যক্রম ১৫ দিনব্যাপী আবাহত থাকবে। শেখের বেটা এলাকায় খালের উৎসমুখে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমি আক্তার, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মৌসুমী খানম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা,জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ,জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন,জেলা যুদদলের আহ্বয়ক সজীব খান,জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এড ইউসুফ আলী,সনাক সভাপতি শামীমা খান, মানবাধিকার কমী জাহাঙ্গির সেলিমসহ পৌরসভার পরিছন্নতা কর্মী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, নানা প্রকার বর্জ্যের কারণে খালটির পানির প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এই খালটিকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা আজ (শুক্রবার) এটা চারটি পয়েন্টে শুরু করলাম। আমাদের এই কার্যক্রম ১৫ দিনব্যাপী আবাহত থাকবে। প্রশাসন, পৌরসভা, রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় জনসাধারণ সবাইকে নিয়ে সবার সহযোগিতায় কাজটি করতে হবে। খালের আশপাশে যারা বসবাস করেন, তাদের সচেতন হতে হবে। ডাস্টবিনের পরিবর্তে খালের ভেতর সরাসরি বর্জ্য ফেললে খালটি আবার বন্ধ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ৬৫ বছর আগে গবা খাল খনন করা হয়। তখন শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি খালের পানি ব্যবহার করে কৃষিকাজ ও মাছ আহরণ ছিল খালের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বা পরিষ্কার না করায় খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জামালপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গবা খালের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৩০ ফুট। পৌর শহরের শেখেরভিটা এলাকা থেকে শুরু হয়ে খালটি শহরের মনিরাজপুর, ছুটগড় হয়ে কেন্দুয়া ইউনিয়নের নাকাটি, দামেশ্বর হয়ে ঝিনাই নদীতে গিয়ে শেষ হয়েছে।
ফজলে এলাহী মাকাম