• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
তীব্র তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরন আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ইসলামপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় এড.আঃ সালাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত বকশীগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজাসহ আটক-৩ জামালপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা জামালপুরে তীব্র দাবদাহে দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির খাবার পানি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ জামালপুরে ১৫ টি ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের বুথের উদ্বোধন দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র কাদের সেখ বরখাস্ত বিএসইসি চেয়ারম্যানকে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন দেওয়ানগঞ্জে সিডস কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা জামালপুরে এইডস রোগী ২৮ জন কর্মশালায় প্রকাশ

সদ্য ভূমিষ্ঠ বাচ্চাদের কানে আজান দিতে হয় কেন?

জেএম নিউজ ডেক্স :

সন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। সুসন্তানের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার মা-বাবার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানের মুকুট পরিয়ে দেন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করে এবং তদনুযায়ী আমল করে, কিয়ামতের দিন তার পিতা-মাতাকে এমন মুকুট পরানো হবে, যার আলো সূর্যের আলোর চেয়েও উজ্জ্বল হবে। ধরে নাও, যদি সূর্য তোমাদের ঘরে বিদ্যমান থাকে (তাহলে তার আলো কিরূপ হবে?)। তাহলে যে ব্যক্তি কোরআন অনুযায়ী আমল করে তার ব্যাপারটি কেমন হবে, তোমরা ধারণা করো তো! (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৫৩)

দুনিয়ায়ও সুসন্তানদের কারণে মানুষ কিভাবে সম্মানিত হয়, তা আমাদের সবার দেখা। আবার কখনো কখনো এর বিপরীতও ঘটে। সন্তানের অপকর্মের কারণে মা-বাবাকে অপমান সহ্য করতে হয়। তাই একটি সন্তান গর্ভে আসার পর থেকে তার সঠিক পরিচর্যার দায়িত্ব মা-বাবার ওপর চলে আসে। গর্ভে আসা সন্তান যেন শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে, সে জন্য তার মা-বাবাকে অনেক আগে থেকে দোয়া শুরু করতে হয়। সহবাসকালে মহান আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইতে হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্রই সন্তানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে তার কানে আজান দিতে হয়। এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত। রাসুল (সা.) নিজেও তাঁর নাতি হাসান (রা.)-এর কানে আজান দিয়েছিলেন।

উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু রাফি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা (রা.) যখন আলী (রা.)-এর ছেলে হাসান (রা.)-কে প্রসব করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তার কানে নামাজের আজানের ন্যায় আজান দিয়েছিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১০৫)

শুআবুল ঈমানের বর্ণনায় আছে, ফাতিমা (রা.) যখন আলী (রা.)-এর ছেলে হাসান (রা.)-কে প্রসব করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তার ডান কানে নামাজের আজানের ন্যায় আজান দিয়েছিলেন। এবং বাম কানে ইকামত দিয়েছিলেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস : ৮৬২০)। হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন যে যার সন্তান হয়, সে যেন তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়। (শুআবুল ইমান, হাদিস : ৮৬১৯)। এই হাদিসগুলোর সনদের ব্যাপারে কোনো কোনো মুহাদ্দিসের ভিন্ন মত থাকলেও নবজাতকের কানে আজান ও ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে বেশির ভাগ ওলামায়ে কেরাম একমত।

নবজাতকের কানে কী কারণে আজান দেওয়া হয় এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। কেউ কেউ লিখেছেন, শিশুর কানে আজান-ইকামত দেওয়ার অর্থ হলো তাকে এই কথা বলে দেওয়া যে আজান-ইকামত হয়ে গেছে, এখন শুধু নামাজের অপেক্ষা (নামাজ শুরু হতে সামান্য বিলম্ব, তা-ই তোমার জীবন)।

হজরত থানভী রহ. বলেন, ‘আজান-ইকামতের মাধ্যমে শিশুর কানে প্রথমেই আল্লাহর পবিত্র নাম পৌঁছে দেওয়া, যেন তার প্রভাবে তার ঈমানের ভিত্তি মজবুত হয়ে যায় এবং শয়তান দূরে সরে যায়। এই দুটি হিকমতেরই সারমর্ম হলো দুনিয়াতে আসার পর তুমি আল্লাহকে ভুলে গাফেল হয়ে থেকো না। (তরবিয়তে আওলাদ, হজরত থানভী রহ.)

এগুলো বিভিন্ন বিজ্ঞ আলেমের মতামত মাত্র। যেহেতু রাসুল (সা.) নিজে তাঁর নাতির কানে আজান দিয়েছেন, তবে নিশ্চয়ই এই কাজের উপকারিতা রয়েছে। আমরা যেহেতু রাসুল (সা.) এর সুন্নাতের অনুসরণ করি, তাই আমরাও আমাদের সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক শিশুদের কানে আজান, ইকামত দিয়ে তাকে কোলে তুলে তার জন্য বরকতের দোয়া করতে পারি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।