• বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
বকশীগঞ্জে মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন দেওয়ানগঞ্জে সময়ের কণ্ঠস্বরের ১ যুগপূর্তি উদযাপন মানবতার সেবায় জামালপুর সদরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াল দোস্ত এইড জামালপুরে প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ও কলেজের নামে মিথ্য অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৮ টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা জামালপুর সদরে দোস্ত এইডের টিউবয়েল পেল ৫০ টি পরিবার অবশেষে সেই মেয়েকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর বকশীগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ জামালপুরে চাঁদাবাজির সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সানন্দবাড়ীতে প্রতিবন্ধি শাহিদার আর্তনাত

মোস্তাইন বিল্লাহ  দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সানন্দবাড়ীতে প্রতিবন্ধি শাহিদার আর্তনাত শোনার কেউ নেই।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম সানন্দবাড়ী লম্বাপাড়া।  একটি দরিদ্র পরিবার ছফর আলী তার সহধর্মীনি শামেলা বেগমকে নিয়ে সুখের সংসার করছিল।তাদের ঘরে জন্ম নেয় একে একে তিন সন্তান, মোছাঃ শাহিদা( ২২), বাবুল(১৮) , লাভলু (১৫) । বিধিবাম শাহিদা প্রতিবন্ধি হয়ে জন্মেছে। তার ছোট ভাই বাবুল  সে বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি।   পিতা  ছফর আলী মারা যাবার পর  মাতা শামেলা বেগম ছোট সন্তান লাভলুকে   নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছে।

লম্বাপাড়া গ্রামে গরীব দুঃখি প্রতিবন্ধি শাহিদার কাঁন্নায় বাতাশ ভারি হয়ে আসছে। একদিকে করোনার ভয় অন্যদিকে অভাব অনটন, দেখার কেহ নেই। চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক নেতা, সমাজ সেবক কেউই পার্শ্বে নেই। প্রতিবন্ধি শাহিদা পিতাহারা উপার্জনক্ষম পরিবারের বড় মেয়ে।

ছোট ভাই বাবুল বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি আরেক ভাই লাভলু বিধবা মাকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার।

 প্রতিবন্ধি শাহিদা সানন্দবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করে সে বসে নেই। তার আখাংকা আরো লেখাপড়া করবে। কিন্ত এই গরীব সংসারে লেখা পড়া কি সম্ভব? তার মা শামেলা বেগম কষ্টকরে দুপয়সা যোগার করে একবেলা না খেয়ে মেয়ের জন্য টাকা যোগার করে কাগজ কলম কিনে দিত। সানন্দবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক (অব:)আলহাজ্ব  আজিজুর রহমান শাহিদাকে নিযে কবিতা লিখে তার লেখা পরার উৎসাহ করে।  লেখা পড়া, পরীক্ষা ফরম ফিলাপ করার সময় সানন্দবাড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী  শিক্ষকগন সহযোগিতা করেছেন।

শাহিদার সংগ্রাম থেমে নেই, সে গরীব হলেও তার মনের আখাংকা ছিল অনেক বড়। সে সানন্দবাড়ী ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০১৭ সালে ডিগ্রী পাশ করে।প্রতিবন্ধী শাহিদাকে লেখাপড়া চালিয়ে যাবার জন্য অত্র  কলেজের অধ্যক্ষ সহ শিক্ষকগন উৎসাহ যোগিয়েছেন।

২০১৭ সালে বিএ পাশ করে নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য শাহিদা ৩ মাস মেয়াদি কম্পিউটার প্রশিক্ষন করে। শাহিদা আরো জানায় আমি  বাড়ীর সামনে রাস্তার সাথে ছোট দোকান দিছি। অতি কষ্টে পায়ে টিপে কম্পিউটারের কাজ করি।বর্তমান করোনাভাইরাসের কারনে লকডাউনের জন্য দোকান বন্ধ। এখন আয় রোজগার না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বড়ই কষ্টে দির যাপন করছি। কোন বিষয় জানতে চাইলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে, বৃষ্টির ফোটার মত চোখে জল গড়িয়ে পড়লো।

সে বলে ইউনিয়ন নির্বাচন আসলে সব নেতা, প্রার্থী এসে বলেন, আপনারা আমাদের ভোটার,  ভোট দেন। পরে দেখবো। নির্বাচনের পরে আর কেহ খোজ খবর নেয়না।প্রতিবন্ধী শাহিদা আরো বলেন, আমি হাটতে পারি না, কিছু ধরতে পারি না। লেখা পড়া করার জন্য মানুষের দ্বারে হাত পাততে পারি না।লজ্জা কি করি? দুঃখ করে বলেন আমাদের এলাকায় অনেক সামর্থবান ব্যাক্তি রয়েছে, কিন্ত অনেক দিন গড়িয়েছে কোন ব্যাক্তি এক কেজি চাউল নিয়ে এগিয়ে আসেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।