• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুর সদরে চুরি হওয়া ১৭ মোবাইল উদ্ধার করলো সদর থানা পুলিশ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিন্ডিকেট সদস্য হলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন অর রশিদ জামালপুর সদরের শ্রীপুর ভালুকায় কৃষক সুরুজ আলীর জমি দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বকশীগ‌ঞ্জে ট্রাক চাপায় আইনজীবীর মৃত্যু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদেরকে সার্বিকভাবে চৌকস হয়ে উঠতে হবে-ধর্মমন্ত্রী আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর জামালপুরে হতদরিদ্র ২০০০ পরিবার পেল যুবনেতা ফারহান আহমেদ এর ঈদ উপহার হতদরিদ্র এক হাজার পরিবার পেলে জামালপুর জেলা প্রশাসনের ঈদ উপহার  জনতার পুলিশ স্টোর জামালপুর থেকে দুই টাকায় মিললো ঈদ সামগ্রী অসহায়দের মাঝে জামালপুর ৩৫ বিজিবির খাদ্য সামগ্রী বিতরন

ফাঁ’সির মঞ্চে যাবার পূর্বে যা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খু’নি মাজেদ 

জেএম নিউজ ২৪ ডট কম ডেক্স:

ফাঁসির মঞ্চে যাবার পূর্বেজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরও এক ত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হলো। সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মজিদ ঝুললেন ফাঁসির দড়িতে। তাতে বাঙালি জাতির পিতৃহত্যার ঙ্ক কিছুটা হলেও কমলো

শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা মিনিটে কার্যকর হয়েছে আবদুল মজিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ। সেই সঙ্গে কেরাণীগঞ্জে স্থাপিত কেন্দ্রীয় কারাগারেও প্রথম কোনো মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে

ফাঁসি কার্যকরের আগের সময়টুকু কেমন কেটেছে আবদুল মজিদের? তাকে যে কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকু কেমন ছিল?

কারা সূত্র জানিয়েছে, রাত ১০ টার দিকে মাছ আর সবজি দিয়ে ভাত খেতে দেওয়া হয় আবদুল মাজেদকে। সামান্য একটু খেয়ে পুরোটাই রেখে দেন প্লেটে। এরপর পানি পান করে রাতের খাওয়া শেষ করেন তিনি

এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কারা মসজিদের ইমাম মাজেদকে দুই রাকাত নামাজ পড়তে বলেন এবং তওবা পড়ান। তওবা পড়ার সময় চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন তিনি

শেষ ইচ্ছার বিষয়ে জানতে চাইলে মাজেদ কারা কর্মকর্তাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ব্যক্তিকে মারার দুঃসাহস কারও ছিল না। কিন্তু সেই কাজটা আমিসহ আমরা করেছিলাম। আবারও প্রমাণিত হলো পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এতদিন বিদেশে থাকতে পারলাম, আর এখন কেন দেশে এলাম, বুঝতে পারছি না। মরণ আমাকে টেনে এনেছে দেশে। ফাঁসি আমার কপালে ছিল।বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পরে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কারা সেল থেকে মাজেদকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান সহকারী জল্লাদের দল

এর আগে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় মাজেদ বলেছিলেন, আমি আমার কৃতকর্মের ফল হাতে নিয়ে মৃত্যুবরণ করছি। তোমরা যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন অন্তত ভালো কিছু কোরো। আমি জানি, আমার কারণে তোমাদের বেঁচে থাকাটাও অনেক ষ্টের হবে। অনেকে গালমন্দ করবে। তবুও তোমরা কাউকে কিছু বলবে না

এদিকে, আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করাকে ঘিরে রাত ১০টা মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন ডিআইজি প্রিজন। রাত ১০টা ১০ মিনিটে প্রবেশ করেন অ্যাডিশনাল আইজি প্রিজন কর্নেল আবরার হোসেন। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে প্রবেশ করেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন

১০টা ৪৫ মিনিটে প্রবেশ করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট, রাত ১০টা ৫২ মিনিটে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা। রাত ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা জেলা পুলি সুপার মারুফ হোসেন সরদারও প্রবেশ করেন কেন্দ্রীয় কারাগারে

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত ১টার দিকে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের হাতে মাজেদের রদে হস্তান্তর করা হবে। আর মাজেদের পরিবার জানিয়েছে, রদে নেওয়া হবে ভোলায়। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনকে রদে দানে সহায়তা করতে বলেছে কারা কর্তৃপক্ষ

এদিকে, মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের আগে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীদের কারাগারের বাইরে ঝাড়ু নিয়ে দাঁড়াতে দেখা গেছে। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা অপেক্ষা করছেন, কখন মাজেদের রদে বের হবে। রদেহে ঘৃণা প্রকাশ করতেই তারা এসেছেন বলে জানিয়েছেন

অন্যদিকে, মাজেদের সঙ্গে তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের একটি দল গত ১০ এপ্রিল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করলেও আজ শনিবার কেউ সাক্ষাতের অনুমতি পাননি

দীর্ঘ দিন বিদেশে পালিয়ে থাকা আবদুল মাজেদকে গত এপ্রিল ভোরে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এরপর তাকে দালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এপ্রিল দুপুরে ঢাকা জজ দালত মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন

পরে রাষ্ট্রপতির কাছে জাতির পিতাকে ত্যার ঘৃণ্য অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চান মাজেদ। এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সে আবেদন নাকচ করে দিলে তার সাজা কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকেনি। শেষ পর্যন্ত ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা মিনিটে কার্যকর হলো তার ফাঁসির রায়

সূত্র :ঢাকা লাইভ


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।